লামা-আলীকদম সড়কের রেপারপাড়া কেরারঝিরি এলাকায় মাহিন্দ্র দুর্ঘটনায় স্কুল ছাত্র-ছাত্রী, নারী-শিশু সহ ৯জন আহত হয়েছে। আহত ৯ জনকে লামা হাসপাতালে আনা হয়। এসময় গুরুতর আহত ৩ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চমেক হাসপাতালে রেফার এবং বাকী ৬ জনকে লামা হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। আলীকদম চৈক্ষ্যং ইউনিয়নের রেপারপাড়া কেরারঝিরি এলাকায় বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রæয়ারি) দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে ৬ জনই চৈক্ষ্যং পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের ছাত্র-ছাত্রী। তারা স্কুল শেষে মাহিন্দ্র করে চৈক্ষ্যং ইউনিয়নের সিবাতলী এলাকায় বাড়ি ফিরছিল। এছাড়া গাড়িতে যাত্রী হিসাবে আরো কয়েকজন নারী-শিশু ছিল। দুর্ঘটনাস্থল থেকে লামা সরকারি হাসপাতাল কাছে হওয়ায় তাদের এখানে আনা হয়। এসময় আহত, শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও স্বজনদের আহাজারিতে হাসপাতালের পরিবেশ ভারী হয়ে আসে।
লামা হাসপাতালে ভর্তি আহতরা হলেন, লিজা আক্তার (১৫), মোঃ জীবন (১৩), শেফুফা আক্তার (১৪), জান্নাত আক্তার (১৬), আবু বক্কর (২), মোঃ শান্ত (১২), মোঃ রাজু (১২), জোসনা বেগম (২০) ও মোঃ শামীম (১৭) ড্রাইভার। আহত শিক্ষার্থী, নারী-শিশু সবাই চৈক্ষ্যং ইউনিয়নের সিবাতলী এলাকার বাসিন্দা। এদের মধ্যে গুরুতর আহত হওয়ায় শিক্ষার্থী মোঃ রাজু, মোঃ শান্ত ও ড্রাইভার মোঃ শামীম কে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
আহত শিক্ষার্থী মোঃ জীবন জানায়, স্কুল ছুটি হলে তারা রেপারপাড়ি বাজার থেকে মাহিন্দ্র করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। গাড়িটি খুব জোরে চালাচ্ছিল ড্রাইভার। রেপারপাড়া বাজার থেকে একটু সামনে এসে কেরারঝিরি নামকস্থানে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাহিন্দ্রটি উল্টে যায় এবং সবাই চাপা পড়ে।
মাহিন্দ্রার অপর যাত্রী জোসনা বেগম বলেন, ছোট বড় মিলে ড্রাইভার সহ আমরা গাড়িতে ১২জন ছিলাম। অল্প বয়সী ড্রাইভার গাড়ি চালাচ্ছিল। অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই ও অদক্ষ ড্রাইভার হওয়ার কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে। লামা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত মেডিকেল অফিসার ডাঃ শহীদুল ইসলাম বলেন, আমরা ৪জন ডাক্তার ও ৫জন সহযোগীর একটি মেডিকেল টিম দ্রæত আহতদের চিকিৎসা প্রদান করি। গুরুতর আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাহিরে রেফার করা হয়েছে।